চাকুরি এখন সোনার হরিণ
————————-
অধীর অভীলাষে স্বপ্নের জাল বুনা
ধীরে ধীরে পড়ছে সেই স্বপ্নে মরীচিকা
বার বার হতাশার গ্লানি নিয়ে ফেরা
যতই দিচ্ছে একের পর এক অভীক্ষা।
একদিন দেখার মতো কিছু করবে
বুকে স্বপ্ন ধারণ করে চলছে এই আশায়
প্রতিবারই স্বাক্ষী হচ্ছে কেবল নির্বেদ
ব্যর্থতার ইতিহাস ভরপুর প্রতিটি পৃষ্টায়।
সফলতা দিয়ে সবাইকে লাগাবে তাক
মনে মনে স্থাপন করে আছে বাসনা
বিস্মিত হয়ে,সবার কপালে উঠবে চোখ
যদি করে পরম দয়ালু একটুখানি
মার্জনা।
বিষাদ পিছনে ফেলে করতে চায়
সফলতার নব অধ্যায় সূক্ষ্ম ভাবে রচনা।
একসময় মেধার যথাযথ মূল্যায়ন ছিল
চাকুরির জন্য বেগ পেতে হতো না,যদি থাকতো যোগ্যতা
কালের বিবর্তনে ভাগ্যের চাকাও যেন পাল্টে বসেছে।
দিনশেষে মেধাবীরাও ঘরে ফিরে নিয়ে ব্যর্থতা।
চাকুরির পাবার আশায় ছন্নছাড়ার বেশে
কতজনকে যে বানাতে হয় পথচলার কর্ণধার।
প্রত্যাশীদের হাতে আসবে
চাকুরিতে যোগদান পত্র
তাই তো প্রকৃত উদ্দেশ্য এত কিছুর করার।
বহু অনুসন্ধানেও মেলে না একখানা চাকুরি
চাকুরি যেন এক সোনার হরিণ।
শিক্ষিত যুবকদের বড় চ্যালেঞ্জ চাকুরি পাওয়া
দিন হতে দিন, চাকুরির বাজার হয়ে যাচ্ছে কঠিন।
লেখকঃ জুবায়েদ মোস্তফা
লোকপ্রশাসন বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।